আমার দেখা নয়াচীন

সাধারণ জ্ঞান - বাংলাদেশ বিষয়াবলী - আমার দেখা নয়াচীন

আমার দেখা নয়াচীন

১৯৫৪ সালে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে সরস বিশ্লেষণ করেন। তিনি তার এই লেখার নাম দেন 'নয়াচীন ভ্রমণ'। তার লেখা ডায়েরিটিই 'আমার দেখা নয়াচীন' নামে বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করা হয়। শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বইটি প্রকাশ করে। মূলত, ২-১২ অক্টোবর ১৯৫২ গণচীনের পিকিংয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রথম চীন সফরে চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সে তুং-এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দেখা হয়। এসময় তিনি চীনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। চীন ভ্রমণের এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি একটি ডায়েরি লেখেন যেখানে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ও চীনের রাজনৈতিক-আর্থসামাজিক অবস্থার তুলনা, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চা প্রভৃতি বিষয়াদি প্রাঞ্জলভাবে আলোচনা করেন।

  • গ্রন্থের নাম : আমার দেখা নয়াচীন।
  • ভূমিকা রচয়িতা : শেখ হাসিনা।
  • প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ-নকশা : তারিক সুজাত।
  • প্রচ্ছদে ব্যবহৃত সম্মেলনের লোগো শান্তির কপোত: পাবলো পিকাসো
  • প্রকাশক : বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল।
  • গ্রন্থস্বত্ব : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

জেনে নিই

  • 'আমার দেখা নয়াচীন' স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণকাহিনি জাতীয়।
  • আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থে ১৯৫২ সালের ঘটনা আলোকপাত করা হয়েছে।
  • চীনে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের নাম- পিস কনফারেন্স অব দি এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স।
  • আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থের বর্ণনায় বার্মা (মিয়ানমার) নামক দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থ সামাজিক অবস্থার বিষয়গুললো আলোচিত হয়েছে।
  • বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয়বার কত সালে চীন সফর করেন ১৯৫৭ সালে।
  • বঙ্গবন্ধু চীনে কতদিন অবস্থান করেছিলেন ২৫ দিন।
  • দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের ছবিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কে উপহার দেন সি জিন পিং
  • ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের ছবিগুলো কোথায় রাখা ছিল- বঙ্গবন্ধুর গ্রামের বাড়িতে।
  • 'আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু চীনের বিষয়ে অভাবনীয় উন্নয়ন ভবিষ্যৎ ধারণা করেছিলেন।
  • 'আমার দেখা নয়াচীন' ভ্রমণকাহিনির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন- ড. ফকরুল আলম।
  • শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু রচিত আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থের ভূমিকা কবে রচনা করেন- ৭ ডিসেম্বর ২০১৯।
  • বঙ্গবন্ধু ব্রহ্মদেশ সফরের সময় উন সরকার ক্ষমতায় ছিল।
  • ক্যান্টন শহরে বঙ্গবন্ধুদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় 'দুনিয়ায় শান্তি কায়েম হউক, মাও সে তুং- জিন্দাবাদ, নয়াচীন জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
  • 'আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু কোন জাতির প্রশংসা করেছেন- ইংরেজ জাতির।
  • বঙ্গবন্ধুর মতে বিপদে পড়া বীরের জাত কারা- জাপানিরা।
  • শান্তি সম্মেলনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের মনোজ বসু।
  • বঙ্গবন্ধু পিকিং শহরের বাজার ঘুরেও কোন পণ্য খুঁজে পাননি- ব্লেড।
  • শান্তি সম্মেলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সঙ্গীরা কোন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান- নানকিং বিশ্ববিদ্যালয়।
  • বঙ্গবন্ধু চীনে প্রথম সফরে যে শহর ঘুরেছিলেন- পিকিং, তিয়ানজিং, নানকিং, ক্যান্টন ও হ্যাংচো শহর।
  • বঙ্গবন্ধুর খাবার টেবিলে চীনের কোন প্রদেশের গভর্নর বসেছিলেন- সিং কিয়াং।
  • 'নয়াচীনের স্বাধীনতা দিবস দেখার সময় বঙ্গবন্ধুর মনে পড়েছিল- ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান দিবসের কথা
  • নানকিং শহরে পৌছে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্যরা প্রথমেই কী দেখতে বের হয়েছিলেন- চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা সান ইয়াং সেনের কবর
  • বঙ্গবন্ধু চীন সফরে যতগুলো উপহার পেয়েছিলেন তার মধ্যে কোন উপহারটি সবচেয়ে মূল্যবান বলে মনে করেন- চীনা শ্রমিক দম্পতিদের দেওয়া 'লিবারেশন পেন' নামক কলমটিকে।

Content added By
Promotion